চুয়াডাঙ্গার সম্ভাব্য জিআই পণ্যগুলো জানতে পারবেন এখানে। চুয়াডাঙ্গা জেলার নাম নিলেই ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের কথা মাথায় আসে। ছোট বেলায় কৃষি বইতে এই ছাগলের নাম পড়েছি। এই ছাগলের মাংস অন্য যেকোন মাংসের চেয়ে স্বতন্ত্র স্বাদের। চুয়াডাঙ্গার জেলা ব্র্যান্ডিং লোগোতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল গুরুত্ব পাওয়ায় ভালো লেগেছে। সারাদেশ থেকে আমাদের স্থানীয় বিশেষ পণ্যগুলো যত বেশি তোলে ধরা যাবে তত বেশি আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের ২১টি জিআই পণ্যের একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল। তবে এই জেলায় আরও কিছু পণ্য রয়েছে। যেগুলো জিআই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে নিজ জেলার সুনাম বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে। আজ আলোচনা করবো চুয়াডাঙ্গার কিছু সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
চুয়াডাঙ্গার সম্ভাব্য জিআই পণ্য খেজুরের গুড়
চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে খেজুরের গুড় অন্যতম। শীত মৌসুমে জেলা জুড়ের খেজুর রস সংগ্রহ করে হাজার হাজার গাছি। তারাই এসব রস থেকে তৈরি করে খেজুর গুড়। প্রতি বছর হাজার হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হয় চুয়াডাঙ্গায়। এ জেলার গুড় লে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজধানী থেকে এসব বই চলে যায় বিভিন্ন দেশেও।
চুয়াডাঙ্গার গুড় জিআই স্বীকৃতি পেলে সারাদেশে চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানী বাজার বড় হবে। একই সাথে খেজুরের গুড় কেন্দ্র করে কর্ম সংস্থান ও জেলা ব্র্যান্ডিং বৃদ্ধি পাবে। সম্ভাব্য জিআই পণ্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড় অন্যতম। এই স্বীকৃতি পুরো শিল্পকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।
চুয়াডাঙ্গার ভূট্টা
ভূট্টা চাষে দেশের শীর্ষের জেলা চুয়াডাঙ্গা। প্রতি বছর এ জেলায় ভূট্টার চাষ ও ফলন বেড়েই চলছে। এই অঞ্চলের মাটি ভূট্টা চাষে উপযোগি হওয়ার কারণে এটি অন্তত একটি লাভজনক ফসল। এখানকার ভূট্টাকে কিভাবে জিআই স্বীকৃতির আওতায় নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে রপ্তানী বাজার বড় করবার সুযোগ তৈরি হবে।