ঝিনাইদহ একটি কৃষি প্রধান অর্থনীতির জেলা। এই জেলার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মধ্যে বৈচিত্র রয়েছে। এর মধ্যে কলা, পান, মশুর ডাল, লাল চিনি অন্যতম। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে নোন ইলিশ পাওয়া যায় ঝিনাইদহ জেলায়। এখানে এত বৈচিত্রময় ও উচ্চফলনশীল পণ্য থাকার পরও কোন জিআই পণ্য নেই। তাই আজকে আলোচনা করবো ঝিনাইদহের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
ঝিনাইদহের সম্ভাব্য জিআই পণ্য কলা
ঝিনাইদহের বহুরকমের কাল চাষ হয়। অন্য যেকোন জেলার তুলনায় অল্প যত্নতেই মিলে যায় কলার অধিক ফলন। এখানকার মাটি কলা চাষে বিশেষ উপযোগি হওয়ার কারণেই এমনটা হয়। আর জিআই স্বীকৃতির জন্য যে কয়টি শর্ত পূরণ করতে হয় এর মধ্যে মাটি ও জলবায়ুর সম্পর্ক অন্যতম। তাই এখানকার কলার প্রচার, প্রসার ও বাজার বড় করার জন্য জিআই স্বীকৃতি বিশেষ দরকার। ঝিনাইদহে উৎপাদিত সবগুলো কলা একটি নামে অথবা আলাদা আলাদা নামেও রেজিস্ট্রেশন নেওয়া যেতে পারে।
পান সম্ভাব্য জিআই পণ্য
দেশের সংস্কৃতিতে মিশে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে পান অন্যতম। তা সারাদেশেই সমানভাবে পরিচিত এবং ব্যবহৃত। তবে একেক অঞ্চলের পানের রয়েছে একেক রকমের বিশেষত্ব। পান চাষের জন্য যে রকম আবহওয়া, জলবায়ু এবং আর্দ্র মাটির প্রয়োজন হয় তা ঝিনাইদহে বিদ্যমান। এ কারণে এই রসযুক্ত মাটিতে বেশ ভালো পরিমাণে পান চাষ হয়। জেলা প্রশাসনও বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে জেলা ব্র্যান্ডিং ট্যাগ লাইন নির্ধারণে করেছে, “কলা আর পান, ঝিনাইদহের প্রাণ।” দুটি পণ্যই জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মাধ্যমে জেলা ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেন বাড়াতে পারে।
রেশম বীজ
বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে রেশম বীজ ও রেশম পোকার নাম। যা উন্নতজাতের পোশাক তৈরিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখে। বাংলার পোশাকের পরিচিতি ও বাণিজ্যিক সুবিধা বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দিতে রেশমের অবদান কম নয়। বহু বছর ধরে ঝিনাইদহে রেশমের বীজ চাষ হয়ে আসছে। এই বীজ জিআই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার জেলা ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।