বাগেরহাটের সম্ভাব্য জিআই পণ্য

বাগেরহাটের সম্ভাব্য জিআই পণ্য

’ঐতিহ্যের সাথে সুন্দরবনের পথে’ স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে বাগেরহাট। এই জেলার ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। প্রাচীন মসজিদের শহর বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদ ও মংলা সমুদ্র বন্দরের জন্য বিখ্যাত। পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি জেলা বাগেরহাট। যেখানে গেলে পাওয়া যায় ৬০০ বছর আগের নিদর্শন, গহিন সুন্দরবন, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়া। বাংলাদেশে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া ৩টির দুটিই বাগেরহাটে অবস্থিত। এই ইতিহাস সমৃদ্ধ জেলায় একটিও ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নেই। তাই আজকে আলোচনা করবো বাগেরহাটের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।

বাগেরহাটের সম্ভাব্য জিআই পণ্য সুন্দরবনের কাঁকড়া
বাগেরহাটের সম্ভাব্য জিআই পণ্য সুন্দরবনের কাঁকড়া

সুন্দরবনের কাঁকড়া

সুন্দরবনের ১৫ হাজারের বেশি জেলের কাঁকড়া শিকাড়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা দিনের পর দিন কাঁকড়া ধরতে প্রশস্ত খাল ও নদীতে পড়ে থাকে। বাগেরহাটে একটি কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতি রয়েছে। যাদের মাধ্যমে এই কাঁকড়া চালান হয় রজধানী ঢাকায়। রপ্তানী হওয়া সিংহভাগ কাঁকড়া যায় সুন্দরবন থেকে। পূর্বে নীতিমালা না থাকলেও কাঁকড়া রপ্তানির নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় ১৯৯৮ সালে। এর আগে থেকেই কাঁকড়া জীবিকার উৎস ঐ অঞ্চলের জেলেদের জেলেদের। কাঁকড়ার জিআই স্বীকৃতি পেলে রপ্তানি চাহিদা বাড়বে। যা সরাসরি প্রান্তিক জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সুন্দরবনের কাঁকড়া একটি সম্ভাব্য জিআই পণ্য বাগেরহাটের। এই কাঁকড়া জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে জীবন বদলে দিতে পারে জেলেদের।

সুন্দরবনে গোলপাতা
সুন্দরবনে গোলপাতা

সুন্দরবনে গোলপাতা

গোলপাতা একটি অর্থকরী সম্পদ। এটির অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে নামে গোলপাতা হলেও এটি গোল না হয়ে লম্বা পাতা। দেখতে নারকেলেগাছের মতো। সুন্দরবনের খালের দুই পাড়ে জন্মায় এই গোলপাতা। তাই কাটা ও বহন করা হয় নৌকায় করে। এই পাতা শক্ত ও টেকসই হওয়ার কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের ঘর নির্মান করা হয় গোলপাতা ব্যবহার করে। এর ফলে গরম কালে ঘরে ঠাণ্ডা এবং শীতের সময় গরম অনুভূতি ও পরিবেশ পাওয়া যায়। এই গোলপাতা বিক্রি করা হয় লোকালয়ে। সুন্দরবনের গোলপাতা জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সহজ হবে। সুন্দরবনের গোলপাতাকে বলা হয় গরিবের ঢেউটিন।

Leave a Reply

Scroll to Top