ব্রিটিশ আমল থেকে ঝালকাঠি ছিল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। কোম্পানী আমল থেকে নদী বন্দরের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এ জেলার কদর ছিল। ব্রিটিশ সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যেমন: ডাচ ও ফরাসিরাদের ব্যবসার জন্য ঝালকাঠি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানেও জিআই পণ্যের স্বীকৃতির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে ঝালকাঠি জেলা। তাই আজকে লিখব কয়েকটি ঝালকাঠির কয়েকটি সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
ঝালকাঠির সম্ভাব্য জিআই পণ্য পেয়ারা
ঝালকাঠির জেলা ও পণ্য ব্র্যান্ডিং বাড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্র্যান্ডিং ট্যাগ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে, “পেয়ারা আর শীতলপাটি এই নিয়ে ঝালকাঠি”। এটির কারণে বুঝতে বাকি থাকে না ঝালকাঠির পেয়ারা ঐতিহ্য ও উৎপাদনের। মাটি ও আবহাওয়ার প্রভাব থাকার কারণে পেয়ারা বেশি জন্মায়। এ কারণে বেশি যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। ঝালকাঠির পেয়ারা সংগ্রহ করা নৌকা দিয়ে এবং বিক্রিও করা হয় নৌকায় করে নিয়ে গিয়ে। ঝালকাঠির পক্ষ থেকে পেয়ার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে এই পেয়ার কদর সারাদেশ সহ রপ্তানিরর সুযোগ থাকবে।
শীতলপাটি
ঝালকাঠির মানুষের একটি পুরাতন পেশা হচ্ছে শীতলপাটি। এখানকার নারীদের কাজের অন্যতম পণ্য এটি। তারা বহুকাল ধরে নিজেদের কর্ম দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে লালন করে আসছে শীতলপাটি বুননের কাজ। বর্তমানে এই পাটির ব্যবহার বহুমুখী করণের লক্ষ্যেও তারা কাজ করছে। ঝালকাঠির শীতলপাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও প্রাচীন দলীলাদি তোলে ধরার মাধ্যমে আলাদা জিআই স্বীকৃতি চাওয়া যেতে পারে।
গামছা
সারাদেশে গামছা উৎপাদন হলেও ঝালকাঠির গামছার বিশেষ কদর রয়েছে। এই গামছার পরিচিতি কয়ক দশকের। মূলত গণি মিয়া নামক গামছা বাজারজাতকারীর মাধ্যমে এই গামছার পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। ঝালকাঠির সম্ভাব্য জিআই পণ্যের মধ্যে এটিকে বিবেচনার করার সুযোগ আছে। জিআই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে ঝালকাঠি থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
হোগলা
ঝালকাঠির প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে হোগলা অন্যতম। এটি শতভাগ পরিবেশ বান্ধব ও ব্যবহারে আরামদায়ক। নদী মাতৃক ঝালকাঠির মাটি হোগলা চাষের বিশেষ উপযোগি এবং নারী পুরুষের রয়েছে বিশেষ কর্ম দক্ষতা। দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয় ব্যবহার যোগ্য হোগলা। দাম কম হওয়ার কারণে মানুষ নানাভাবে ঘরের কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি বেড়া দেওয়ার কাজেও ব্যবহার করে।