বরগুনা একটি উপকূলবর্তী জেলা। এখানারকার মানুষ নদীর মাছ আহরণ ও কৃষিকাজ করেই জীবনযাপন করে থাকে। তাদের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি কাজ তথা চাষাবাদ। এখানে বিশেষ কিছু পণ্য আছে। জিআই পণ্যের মর্যাদা পেতে পারে। এর মধ্যে তরমুজ ও রাখাইনদের জিনিসপত্র অন্যতম। আজকে আলোচনা করবো বরগুনার সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
রাখাইন তাঁত বস্ত্র
বড়গুনার একটি উপজেলার নাম তালতলী। এখানে প্রায় ৩শ বছর ধরে রাখাইনদের বসবাস। তারা নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বুনতে শুরু করেন নিজেদের প্রয়োজনীয় বস্ত্র। এরপর তা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ার ফলে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় তাদের কার্যক্রম। তাদের জন্য রয়েছে আলাদা মার্কেট। যেখানে তারা লুঙ্গি, চাদর সহ নানারকম হস্ত পণ্য বিক্রয় করে। স্থানীয় লোকদের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এর কদর রয়েছে। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে তার পরিচিতি ও বাজার প্রসারের সুযোগ রয়েছে।
বরগুনার সম্ভাব্য জিআই পণ্য তরমুজ
বরগুনার মৌসুমী ও অর্থকরি একটি কৃষি ফসল হচ্ছে তরমুজ। এখানকার মাটির বিশেষ গুণাগুণের কারণে এই তরমুজের ব্যাপক ফলন হয় প্রতি বছর। তবে আহাওয়ার উপর নির্ভর করে লাভ লোকসানের মাত্রা বেড়ে যায়। এই তরমুজ এখন কেবল ফল হিসাবে কিংবা বাড়িতে জুস বানিয়েই খাওয়া হয়। বরগুনার তরমুজ জিআই স্বীকৃতির আওতায় আসলে এখানে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ তখন তরমুজ থেকে প্রক্রিয়াজত করে নানারকম পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার সুযোগ তৈরি হবে।
রামছোস বা তাপসি মাছ। অত্যান্ত সুস্বাদু হয় এই মাছ। এটাও জি আই এর আওতায় হতে পারে।
বরগুনার রামছোস বা তাপসি মাছ। অত্যান্ত সুস্বাদু হয় এই মাছ। এটাও জি আই এর আওতায় হতে পারে।