আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি। এখানে রয়েছে বৈচিত্রময় বসবাস। পাহাড়ি জীবন ভ্রমণ প্রিয়দের আনন্দ দেয়। আর সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে স্থানীয়রা। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ার কারণে এখানে জুম চাষ বেশি প্রসিদ্ধ। সমতলের একই পণ্য রাঙ্গামাটিতে উৎপাদন হলেও আকৃতি থেকে শুরু করে স্বাদ পর্যন্ত আলাদা হয়ে থোকে। এসব পণ্য থেকে কিছু পণ্য জিআই স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে। তাই আজকে লিখছি রাঙ্গামাটির সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
রাঙ্গামাটির সম্ভাব্য জিআই পণ্য
পাহাড়ি আনারস
রাঙ্গামাটির একটি অর্থকরী ফল হচ্ছে আনারস। জেলার ৯টি উপজেলাতে কম বেশি আনারসের চাষ হয়। এখানকার আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ার কারণে সারাদেশে বিখ্যাত। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাজার থাকে রাঙ্গামাটি থেকে আসার আনারসের দখলে। এখানকার আনারস মৌসুমের আগে পরিপক্ক হওয়ার কারণে দাম বেশি পাওয়া যায়। এই কারণে কৃষকের আগ্রহের কমতি নেই আনারস চাষে। তবে এখন কেবল আনারস কাঁচা ফল এবং জুস বানিয়ে খাওয়া হয়। এই ফল জিআই স্বীকৃতি অর্জন করলে প্রক্রিয়াজাত হওয়ার পাশাপাশি কদর বাড়বে।
কাজুবাদাম
স্বাধীনতার পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ফলের চারা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ছিল কাজুবাদাম। বর্তমানে কাজুবাদাম রঙ্গামাটির অর্থনীতিতে দারুণভাবে অবদান রেখে চলেছে। তৈরি হচ্ছে উদ্যোক্তা ও বাজার। অনলাইনের মাধ্যমে সর্বত্র কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
কাজুবাদাম খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি পণ্য। আমদানি নির্ভরা কমাতে এবং স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে রাঙ্গামাটির উদ্যোক্তারা। কাজুবাদামের জিআই স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করতে পারে রঙ্গামাটিবাসীরা। এটি তাদের ব্র্যান্ডিং, চাহিদা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ আনতে অবদান রাখতে পারে।
সাজেকের কমলা
রাঙ্গামাটির বিখ্যাত ফসলের মধ্যে সাজেকের কমলা অন্যতম। এই কমলা চাষে ব্যবহার হয় না কোন প্রকার রাসায়নিক সার। যার ফলে সাজেকের কমলার স্বাদ ও মান স্বতন্ত্র। এই কমলা চাষে নারী পুরুষ একই ভাবে শ্রম দিয়ে থাকে। তাদের উৎপাদিত কমলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। তারা খাওয়ার পাশাপাশি যাওয়ার সময় নিয়ে যায় সাথে করে। সাজেকের কমলার জিআই স্বীকৃতি অর্জন করলে আরও বেশি কদর বাড়বে পর্যটক সহ দেশের বাজারে।
এছাড়াও রাঙ্গামাটিতে জিআই স্বীকৃতি অর্জনের মতো রাঙ্গামাটির হলুদ, আদা, মরিচ ইত্যাদি পণ্য বিবেচনা করা যেতে পারে।