অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা জেলাগুলোর একটি লক্ষ্মীপুর। তবে এই জেলায় এখন পর্যন্ত কোন জিআই পণ্য নেই। তাই আজকের আলোচনা লক্ষ্মীপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
লক্ষ্মীপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য
মোস্তাকের পাটি
শত বছরের পুরনো ইতিহাস রয়েছে মোস্তাক গাছ থেকে তৈরি পাটির । পাটি মূলত মোস্তাক গাছের আঁশ দিয়ে বুনা হয়। লক্ষ্মীপুর জেলার আঞ্চলিক সব অনুষ্ঠানে প্রায়ভবাড়িতেই এ পাটি দেখা যায়, বিশেষ করে বিয়ের সময় কনের সাথে এই পাটি দিয়ে দেয়া হয়।
গিগজ মুড়ি
লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে অন্যতম গিগজ মুড়ি। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার চার অঞ্চলে এই গিগজ ধান উৎপন্ন হয় । গিগজ মুড়ি কয়েকটি ধাপে উৎপাদিত হয়। প্রথম ধাপে গিগজ ধান দুই দিন ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করে রোদে শুকাতে হয়। ধান থেকে চাল তৈরি করা হয়। তারপর মুড়ির চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে গ দেশীয় পদ্ধতিতে কেমিক্যাল ছাড়া ভাজা হয় বলে এই চালের মুড়ি খেতেও সুস্বাদু। অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো মুড়ির রং হালকা গোলাপী খুব মচমচে হয়। গিগজ মুড়ি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে।
সয়াবিন
লক্ষ্মীপুর জেলার সয়াবিন হতে পারে জি আই পণ্য। এখানের উৎপাদিত সয়া বীজ থেকে উৎপন্ন খাদ্যপণ্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সয়াবিন তেল, সয়াবিন বড়ি, সয়া ময়দা, সয়া প্রোটিন,টফু, দুধ ইত্যাদি। সয়া বড়ি বা নাগেটের প্রচুর চাহিদা বা জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলাদেশেও ভারতে। অনেক উপকারী একটি পণ্য সয়া। ব্লাড প্রেসার কমায়, হাড়ের জন্য উপকারী, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম প্রধান ফসল সয়াবিন । ১৯৮২ সালে রামগতি উপজেলায় মাত্র ১ হেক্টর জমিতে সর্বপ্রথম চাষ শুরু হয়। রামগতি উপজেলা ছাড়াও জেলার আরো পাঁচটি উপজেলায় কমবেশি সয়াবিন চাষ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও এজেলার উৎপাদিত ফসল গুলোর মধ্যে রয়েছে সরিষা, ধান, গম, পাট, মরিচ, আলু, চিনাবাদাম,সুপারি ইত্যাদি।