দেশের উত্তরাঞ্চলীয় একটি জেলা নীলফামারী। এখানকার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। নীলফামারীতে শিল্পকারখানা কম হওয়ার কারণে মানুষ উপার্জনের সন্ধানে ছুটে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে নীলফামারীতেও এমন বিশেষ কিছু পণ্য রয়েছে যার জিআই স্বীকৃতি অর্জন করা গেলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। আজকে লিখব নীলফামারীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
নীলফামারীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য
নীলফামারীর বাঁশ
নীলফামারীর মাটি, পানি ও আবহাওয়া বাঁশের জন্য খুবই উপযোগি। এ কারণে এখানে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ হয়। এই বাঁশ সরাসরি বিক্রি হওয়ার পাশাপাশি বাঁশের তৈরি নানা জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করা হয়। নীলফামারীর বাঁশ চলে যায় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এখানকার বাঁশ দ্বারা তৈরি জিনিস পত্র রপ্তানি হয় বিদেশে। যা এই অনগ্রসর জেলার অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বাঁশের জিআই স্বীকৃতি পেলে কদর বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে নানারকম জিনিস পত্র তৈরিতে আগ্রহ বাড়বে।
এখানকার বাঁশ বেশি হওয়ার কারণে এবং বিশেষত্ব থাকার কারণে দেশের একমাত্র বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে নীলফামারীতে।
বাঁশের কফিন
বাঁশ একটি প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ। তা দিয়ে ঘর তৈরি থেকে শুরু করে নানা কিছুই তৈরি হয় সারাদেশে। বাণিজ্যিকভাবেও উৎপাদন নানারকম পণ্য। তবে নীলফামারীতের বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় কফিন। কাঁচামাল সহজলভ্য হওয়ার কারণে এবং এখানকার বাঁশ কফিন তৈরির উপযোগি হওয়ার কারণে কফিন উৎপাদন করে বিক্রি করছেন স্থানীয়রা। এটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তরান্বিত করতে অবদান রাখছে। এখানকার কফিন রপ্তানি হয় বিদেশে। এই কফিন জিআই স্বীকৃতি পেলে বাঁশ শিল্পকে কেন্দ্র করে কফিনের বাজার ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।