৫১ ধরনের শাড়ির এক্সিভিশন
বাংলাদেশে উৎপাদিত সম্ভাব্য জিআই পণ্য ৫১ ধরনের শাড়ির এক্সিভিশন অনুষ্ঠিত।
ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-অয়োজনে গতকাল ৮ই জুলাই, ২০২৩ “Exhibition of Bangladesh 51 Saris As Potential GI Goods” অনুষ্ঠিত ধানমন্ডির উইমেন ভলান্টিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ)-এ। প্রধান অতিথি ছিলেন খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি, মহাপরিচালক, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি), প্রেসিডেন্ট, কাকলী তালুকদার, মোঃ জিল্লুর রহমান, পরিচালক (ট্রেডমার্কস ও জিআই), পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, মোঃ বেলাল হোসেন, সহকারী পরিচালক, ট্রেডমার্কস (ডব্লিউটিও এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক), পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, আলিয়া’স কালেকশেনের স্বত্বাধিকারী, জেনিস ফারজানা তানিয়া ও দেশি পণ্যের ৭০ জনের বেশি ই-কমার্স উদ্যোক্তা।
প্রধান অতিথি ছিলেন খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে এতো ধরনের শাড়ি আছে তা জেনে ভালো লাগছে। আমরা ইতিমধ্যে ৩ ধরনের শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিয়েছি। আশাকরি আগামী দিনগুলো আরও অনেকগুলো শাড়ির নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশি শাড়ির ইতিহাস অনেক পুরানো। ব্রিটিশ আমল থেকে বিশ্ব বাজারে রপ্তানি হয়েছে আমাদের শাড়িগুলো। তাই এসব শাড়ির গুণ-মান নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতির পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে বলে আমি আশাকরি।
রাজিব আহমেদ বলেন, দেশি শাড়ির কোয়ালিটি নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করছি দেশি শাড়িগুলো প্রচার, পরিচিতি, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়াতে। তিনি আরও বলেন, দেশি শাড়ির এক্সিভিশন করার ইচ্ছা অনেক দিনের। আজ তা বাস্তবায়ন হওয়ার কারণে আমি আনন্দিত।
কাকলী তালুকদার বলেন, ইডিসির গবেষণায় আমরা বাংলাদেশের ১০৮ ধরনের শাড়ি নাম পেয়েছি। যা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আজ ৫১ ধরনের শাড়ির বিবরণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, এখানে যে কেবল ৫১ ধরনের শাড়ি তা নয়। উপস্থিত সবাই স্বতন্ত্র শাড়ি পরিধান করেছে। তাই এখানে আরও অন্তত ২০ রকমের শাড়ি দেখার সুযোগ হয়েছে।
জেনিস ফারজানা তানিয়া, ৫ টি সম্ভাব্য শাড়ি জিআই নিবন্ধন পাওয়ার বার্ণনা ও বিশেষত্ব তোলে ধরেন। এছাড়াও জিল্লুর রহমান ও মোঃ বেলাল হোসেন দেশি শাড়ির জিআই নিবন্ধন পাওয়ার বিভিন্ন দিক তোলে ধরেন।
প্রদর্শনীর শাড়িগুলো:
১) মিরপুরের কাতান শাড়ি
২) নরসিংদীর প্রিন্ট শাড়ি
৩) কুমিল্লার খাদি
৪) টাঙ্গাইলের মাদুরাই শাড়ি
৫) কাটওয়ার্ক শাড়ি
৬) দিনাজপুরের হ্যান্ডলুম শাড়ি
৭) গঙ্গা যমুনা পাড়ের শাড়ি
৮) মাসলাইস কটন শাড়ি
৯) টাঙ্গাইলের নকশী পাড়ের শাড়ি
১০)মোহাম্মদপুরের কারচুপির শাড়ি
১১) মানিকগঞ্জে কটন চুমকি শাড়ি
১২) হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি
১৩) এন্ডি হাফসিল্ক শাড়ি
১৪) হাফ পাটির শাড়ি
১৫) মানিকগঞ্জের কুচি প্রিন্ট স্টেপ শাড়ি
১৬) চৌখুপী কোটা থান শাড়ি
১৭) জুম শাড়ি
১৮) এম্ব্রোডারি ফিউশন শাড়ি
১৯) সিরাজগঞ্জের হাফ সিল্ক শাড়ি
২০) বগুড়ার ধূপছায়া শাড়ি
২১) সিরাজগঞ্জের জড়ি পারের হাফসিল্ক শাড়ি
২২) পপকন শাড়ি
২৩) স্ক্রিনপ্রিন্ট শাড়ি
২৪) ব্লকের শাড়ি
২৫) টাঙ্গাইলের জামদানী শাড়ি
২৬) পাটের শাড়ি
২৭) সিরাজগঞ্জের ধূপিয়ান প্রিন্ট শাড়ি
২৮) পিনন হাফসিল্ক শাড়ি
২৯) টাঙ্গাইলের কটকী শাড়ি
৩০) এন্ডি কটন শাড়ি
৩১) টাঙ্গাইলের খেশ শাড়ি
৩২) টাঙ্গাইলের জ্যাকার্ড পাড়ের শাড়ি
৩৩) হাফ সিল্ক চুমকী শাড়ি
৩৪) টাঙ্গাইলের তন্দুজ সুতির শাড়ি
৩৫) কুষ্টিয়ায় ধানসিড়ি শাড়ি
৩৬) বাটিক শাড়ি
৩৭) দিনাজপুরের গামছা শাড়ি
৩৮) গ্রামীন চেকের শাড়ি
৩৯) সিলেটের মনিপুরী শাড়ি
৪০) যশোরের স্টিচ শাড়ি
৪১) যশোরের কাথা স্টিচ শাড়ি
৪২) টাঙ্গাইলের থান শাড়ি
৪৩) পাবনার লুঙ্গি চেক শাড়ি
৪৪) টাঙ্গাইলের চেক শাড়ি
৪৫) নকশী পাড়ের পপকন শাড়ি
৪৬) পাবনার জড়ি পাড়ের শাড়ি
৪৭) টাঙ্গাইলের কাতান শাড়ি
৪৮) রংধনু পাড়ের শাড়ি
৪৯) মানিকগঞ্জের ধূপিয়ান চেক শাড়ি
৫০) টেম্পল পাড়ের শাড়ি
৫১) পাবনার চেক শাড়ি।