হাজরাপুরের লিচুর জিআই স্বীকৃতি চায় মাগুরার জেলা প্রশাসন
হাজরাপুরের লিচুর জিআই স্বীকৃতি চেয়ে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন প্রেরণ করেছে মাগুরার জেলা প্রশাসন আবু নাছের বেগ। আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাজরাপুরের লিচুর ডকুমেন্টেশন তৈরি ও আবেদনসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন সহযোগিতা করেছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
দেশের যেকোন লিচুর তুলনায় হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ অনন্য। এই লিচু টসটসে রসে ভরপুর। আকার ও আকৃতিতেও বড়। হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ দেশের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া ভার।
এ ব্যাপারে ইডিসির সদস্য ও আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জেনিস তানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ দেশের যেকোন লিচুর চেয়ে স্বতন্ত্র।জিআই আবেদন হওয়ার ফলে এই লিচুর ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা সারাদেশে বাড়বে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কারণে খুব সহজে সারাদেশে ডেলিভারি করতে পারবে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা।”
জেলা প্রশাসক বলেন, “বহু বছর ধরে সুনাম রয়েছে হাজরাপুরের লিচুর। লিচুকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মেলা বসে সপ্তাহব্যাপী। যেখানে ক্রেতা বিক্রেতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসে পর্যটকরা। আমি আশাকরি জিআই স্বীকৃতি পেলে হাজরাপুরের লিচুকে কেন্দ্রিক পর্যটন বড় এবং চাহিদা ও উৎপাদন বাড়বে।”
এখানে উল্লেখ যে, জিআই পণ্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেওয়া হয় না। উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষার্থে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সমিতি অথবা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান (ডিসি অফিস, বিসিক, অধিদপ্তর ইত্যাদি) জিআই স্বীকৃতির আবেদন করতে পারে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল যাচাই ও প্রক্রিয়া শেষ করে পণ্যটিকে জিআই নিবন্ধন দেওয়া হয়।
দেশের সর্বশেষ জিআই পণ্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা।