মাগুরা ই-কমার্স আলোচনা
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ সনে মাগুরা দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ই-কমার্স আলোচনা হয়। এতে প্রধান অতিতি ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশি পণ্যের ৩০ জনের মতো উদ্যোক্তা।
রিংকি’স অ্যাটেয়া’সের স্বত্বাধিকারি রেহমুমা হোসেনের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জেনিস ফারজানা। তাঁর বক্তব্যের শ্রুতি লিখন:
“মাগুরা নিয়ে কিছু করবো অনেক দিন থেকেই সেই ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কীভাবে কি করতে পারবো। গত কয়েক মাস ধরে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সাবেক ও সভাপতি রাজিব আহমেদ স্যার মাগুরার জেলা ব্র্যান্ডিং ও ই-কমার্স নিয়ে ভাবছেন এটি আমার ইচ্ছাকে সত্যি করতে চলেছে। কেবল যে আমার ইচ্ছা পূরণ হতে চলছে তা কিন্তু না, জেলার বোন রেহমুমা হোসেন আপুর ইচ্ছাগুলোও সত্যি করতে চলছে।
স্যারের পরামর্শে আমরা দুইজন মাগুরার মিষ্টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। খুব ভালো লাগছে মাগুরা জেলার মিষ্টি সকলের কাছে পরিচিত করতে, সেখান থেকে মিষ্টি এনে ঢাকায় হোম ডেলিভারি করতে। আমি বিশ্বাস করি এই মিষ্টির মাধ্যমে মাসে অন্তত কয়েকশ বার মানুষের মাথায় আসে আমাদের জেলার নাম। শতশত বার পোস্ট কমেন্টে লেখা হয় মাগুরা মাগুরা। আর ফেসবুকে সার্চ করলে আমাদের পোস্ট বা আমাদের ট্যাগ করা পোস্ট আসে। এসবের আনন্দ আসলে বর্ণনা করার মতো নয়। স্যারের পরামর্শে আমরা আয়োজন করছি ‘মাগুরা ই-কমার্স আলোচনা’।
স্যারের পরামর্শ নিয়ে মাগুরার ই-কমার্সকে তোলে ধরতে চাই। মাগুরার পণ্য সারাদেশে পরিচিত করতে চাই। তাই হয়তো মাঝে মাঝেই আমরা আয়োজন করবো ই-কমার্স আড্ডা, আলোচনা বা ইভেন্ট। যেন মাগুরা জেলার ব্র্যান্ডিং হয় এবং ই-কমার্সে দখল বাড়ে।
এবার বলি মাগুরার ই-কমার্স আলোচনা নিয়ে। রাজিব আহমেদ স্যারের পরামর্শক্রমে আমি এবং রেহমুমা আপু মিলে আয়োজন করছি এই আলোচনা। মূলত মাগুরা থেকে যারা আরিফা মডেল অনুসরণ করে, ই-কমার্সে কাজ করে বা পছন্দ করে তাদের নিয়ে আমাদের এই আলোচনা। ই-কমার্সে মাগুরা জেলার সমস্যা, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা হয়তো রাতারাতি কিছুই করতে পারবো না তবে জানতে পারবো আসলে আমাদের সম্ভাবনাগুলো কী, কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, আমাদের পক্ষ থেকে কী কী করা দরকার ইত্যাদি নিয়ে। এসব জানতে পারলে স্যার থেকে প্যাসিফিক গাইডলাইন চাইতে পারবো এবং আমরা ভাবতে পারবো আসলে নিজ অবস্থান থেকে আমরা কীভাবে কি করতে পারি।
আলোচনায় অংশ নেওয়া সবার মুখ থেকে শুনার চেষ্টা করবো মাগুরার ই-কমার্স নিয়ে। সবার ভাবনায় স্থান পাক নিজ জেলার পরিচিতি, পণ্য, দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি। আমরা আলোচনা, আড্ডা এসব করে করে নিজের মধ্যে বন্ডিং বাড়াবো।
স্যার থেকে পারমিশন পেলে আমাদের ‘মাগুরা ই-কমার্স আলোচনায়’ ঢাকা থেকে কাউকে নিয়ে যাবো। যেন আমাদের মাগুরার রিডিং সিলেবাস তথা আরিফা মডেলে একটিভ লোকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে পারে এবং মাগুরার মানুষের কথা শুনে সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করতে পারে, আমাদেরকে বলতে পারে। আস্তে আস্তে মাগুরা জেলার ই-কমার্স নিয়ে আলোচনা, কাজ, কনটেন্ট, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বাড়ুক।
আমরা যেহেতু একটা রেস্টুরেন্টে বসে আলোচনা করবো তাই সেখানে লাঞ্চ করবো এবং লাঞ্চ বিলের জন্য সবাই ৩০০ টাকা করে ফি দেব। দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত আলোচনার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের জেলার কাউকে যদি নিয়মিত মিডিয়ায় লেখালিখির জন্য পাই তাহলে তাকে উৎসাহীত করবো মাগুরা জেলা নিয়ে মিডিয়ায় লেখার জন্য তা প্রকাশ করার জন্য স্যারের সহযোগীতা নিবে। আরিফা মডেলের মাধ্যমে যতটুকু বুঝেছি আসলে কোন জেলার ব্র্যান্ডিং বা কোন কিছু পরিচিতি করাতে চাইলে সবচেয়ে বেশি গুরুত দেওয়া দরকার কোয়ালিটি কনটেন্টে।
আমি আশাকরি মাগুরা ই-কমার্স নিয়ে খুব ভালো একটি আলোচনা হবে। ইন শা আল্লাহ”