জিআই পণ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তারা কিভাবে অবদান রাখতে পারে?

জিআই পণ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তারা কিভাবে অবদান রাখতে পারে?

বাংলাদেশে জিআই পণ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে একদশক আগে কিন্তু জিআই পণ্যের সংখ্যা তেমন বাড়েনি। দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদরে মাধ্যমে চেষ্টা শুরু হয় ১লা জানুয়ারি থেকে, এরপর আলোচনা বেড়েছে ফেসবুক, ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন স্থানে। জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন বাড়াতে কাজ করছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-সহ দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তারা। এ নিয়ে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)-এর সাথে বৈঠকে আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারি জেনিস ফারজানা তানিয়ার আলোচনার শ্রুতি লিখন:

জিআই পণ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তারা কিভাবে অবদান রাখতে পারে

প্রাচীন দলীল থাকা জিআই পণ্যের একটি অন্যতম শর্ত। তা পাওয়া যায় সাহিত্য ও অন্যান্য স্থানে। তবে প্রাচীন ও লিখিত থাকার কারণে গুরুত্ব বহন করে সাহিত্য। এ কারণে উদ্যোক্তারা ভাগ করে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে জানার দিকে মনযোগ দিতে পারে। আমরা জানি রবীবন্দ্রনাথ তাঁর বিভিন্ন লেখায় দেশি পণ্যকে ফুটিয়ে তোলেছেন। এ কারণে রবীন্দ্র-রচনাবলিসহ যার যে দিকে ভালো লাগে সেদিকে পড়াশোনা করা দরকার। এছাড়াও সাহিত্যে বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে আঞ্চলিক সাহিত্য নিয়ে জানাশোনার পিছনে সময় দিলে প্রচুর পরিমাণে দেশি পণ্যের উপস্থিতি পাওয়া যাবে। যেমনটা আমরা ময়মনসিংহ গীতিকায় বেগুন, হারসহ একাধিক পণ্যের উপস্থিতি পেয়েছি। প্রবীণদের সাথে দেশি পণ্য নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমেও অনেক তথ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা রেফারেন্স দিতে পারবে দেশি পণ্যের তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে।

জিআই পণ্য নিয়ে সর্বত্র আলোচনা করা দরকার। আমাদের দেশের সবধরণের প্রতিষ্ঠান এখনো জিআই পণ্য নিয়ে সচেতন নয়, যতটা থাকা দরকার। তাদের অবগতির জন্য জিআই পণ্যের গুরুত্ব তোলে ধরা দরকার। জিআই স্বীকৃতি পেলে কীভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ আর না পেলে কোন ধরণের অসুবিধা হবে এসব বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এতে করে জিআই পণ্যের আলোচনা বাড়ার সাথে বাড়বে সচেতনতা। তখন হয়তো তারাও কোনো না কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে। কারণ অধিকাংশ বাড়িতে পারিবারিক লাইব্রেরি রয়েছে, সবাই কোনো না কোনো বই পড়েছে বা পড়ে তাই হয়তো বলতে পারবে কোন বইতে কিংবা স্থানে দেশি কোন পণ্যটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডকুমেন্টেশনে এটি দারুণভাবে সহায়ক হবে।

পূর্বে প্রকাশিত জিআই পণ্যের জার্নালগুলো ভালো করে পড়ার পর বিভিন্ন বইপুস্তকের তথ্য ও রেফারেন্সসহ সম্ভাব্য জিআই পণ্যের ডকুমেন্টস তৈরি করছে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তারা। এটি জিআই পণ্যের আবেদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এভাবে ১০০ পণ্যের ডকুমেন্টস হয়ে গেলে পরেরগুলো আরও সহজে করা যাবে।

কোনো সম্ভাব্য জিআই পণ্যের ডকুমেন্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট কোনো অফিসের মাধ্যমে আবেদন করা। যেহেতু উদ্যোক্তারা সরাসরি আবেদন করতে পারবে না তাই ডিসি অফিস, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহী ও সহযোগিতা করতে পারে।

ডিপিডিটি বরাবর জিআই আবেদন করার পর যদি পুনরায় কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় তখনও দেশি পণ্যের উদ্যোক্তারা সহযোগিতা করতে পারে। তবে ল্যাব টেস্ট বা বৈজ্ঞানিক সকল প্রমাণপত্র আমাদের ক্ষমতার বাইরে।

ডিপিডিটি
Scroll to Top