হোম মেইড ফুড ও জিআই পণ্য
আমি শুরুতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আমার আলোচনা শুরু করছি। বিশ্ববিদ্যালয়, সিন্থিয়া আপু এবং ইডিসির সহযোগিতায় হোম মেইড ফুড ও জিআই পণ্য নিয়ে আলোচনার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জিআই পণ্যের উপর যত বেশি ইভেন্ট, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে তত বেশি শক্তিশালী হবে জিআইয়ের ডকুমেন্টেশন, প্রচার এবং গ্রহণযোগ্যতা।
আমাদের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাবার অন্যতম। ভাত মাছ থেকে শুরু করে ফলমুল পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকি। তাই প্রবাদেও বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই তা থেকে বাণিজ্যিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো নিয়ে আমরা জিআই নিবন্ধনের চেষ্টা করতে পারি। যেমন: মোরগ পোলাও, দুধ, ডাল, পেয়াস, রসুন, শাক সবজি ইত্যাদি।
এসব খাবার আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে থাকে। উদারহণ দিয়ে বলতে পারি যে কৃষক ডাল উৎপাদন করে সে তা একাই ভোগ করে না বরং অন্যদের খাবারের যোগান দেয়। তা দেশের চাহিদা পূরণ করে, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের ব্র্যান্ডিং বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এতে করে রপ্তানি বাড়বে এবং আমদানি চাহিদা কমে আসবে। খাবারের ডকুমেন্টেশন তৈরি করা তুলনামূলক সহজ হবে। কারণ অধিকাংশ গল্প উপন্যাসে খাবারের বর্ণনা রয়েছে।
খাবারের জিআইর সাথে হোম মেইড খাবার উদ্যোক্তাদের নিবির সম্পর্ক রয়েছে। কারণ যেসব খাবার জিআই নিবন্ধন পাবে তার অনেকগুলোই হয়তো আপনার রান্নায় কোন না কোনভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ধরে নিলাম মোরগ পোলাও রান্না করছেন। এখানে যদি জয়পুরহাটের সোনালি মুরগী আর শেরপুরের তুলশীমালা চাল ব্যবহার করেন তাহলে পোস্টে আপনি তা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। কাস্টমারদেরও বলতে পারবেন মেইন দুইটা আইটেমই জিআই স্বীকৃত। এতে করে তাদের কাছে আপনার আলাদা ভ্যালু তৈরি হবে। যা সরাসরি সুনাম ও ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এখন যেহেতু নিয়মিত জিআই পণ্য নিয়ে মিডিয়া এবং ফেসবুকে আলোচনা হচ্ছে তাই আগামী কয়েক বছরে প্রায় সব শ্রেণির মানুষ জিআই সম্পর্কে জেনে যাবে। তাদের কাছে আলাদা কদর তৈরি হবে। তাই নিজেদের ভ্যালু এবং সুনাম বাড়ানোর স্বার্থে জিআই ডকুমেন্টেশন তৈরিতে খাবারের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত।
আপনারা খাবারের ডকুমেন্টেশন তৈরিতে এগিয়ে আসবেন সেই প্রত্যাশা রেখে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
হোম মেইড ফুড ও জিআই পণ্য শীর্ষক কর্মশালার ফটো গ্যালারী।: