আরিফা মডেলে ইংরেজি পাঠ্যবই
ইংরেজি পাঠ্যবই রিডিং পড়া আরিফা মডেলের তৃতীয় ধাপ। বইগুলো পড়ার মাধ্যমেই শুরু হয় আরিফা মডেলে ইংরেজি চর্চা। প্রথম বইগুলো সংগ্রহ করতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল। যখন বইগুলো হাতে পেয়েছি তখন রিডিং পড়তে এবং আপডেট দিতে কোন ইনইজি ফিল করিনি। বরং আনন্দ নিয়ে পড়েছি। প্রথম দিনেই ৩য় ক্লাস শেষ করেছি। এরফলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। পরের বইগুলো যতটা সম্ভব দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেছি। মজাও পেয়েছি প্রতিটা বই শেষ করে। কারণ প্রতিটি শব্দ পরিচিত ছিল। আর কনটেন্টগুলোও বেশ মজার ছিল। তাই দ্রুত শেষ হয়েছে।
যেহেতু স্যার সবসময় বলেছেন এবং এখনো বলেন, বুঝে পড়ার চেয়ে আই রিডিং এ বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তাই দিয়েছি। এর ফলে ডিকশনারি খুঁজতে হয়নি তাই সময়ও অপচয় হয়নি। ডিকশনারি খুঁজতে হলে হয়তো বইগুলো শেষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতাম। কারণ শব্দের অর্থ বের করে বুঝে পড়তে অনেক সময় দরকার।
প্রথম ক্লাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শেষ করে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছিল।
আমরা যখন কোন উপন্যাস পড়ি তখন একটা গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক বসায় জানার সুযোগ পেয়ে যাই। এ কারণেই উপন্যাসগুলো শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা কাজ করে। ঠিক তেমন-ই লেগেছিল ইংরেজি পাঠ্যবইগুলো পড়ার সময়। অর্থাৎ প্রথম থেকে তৃতীয় ক্লাস তো একদম বেসিক। এক ক্লাস করে উপরে উঠছিলাম আর একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলাম এবং পরের ক্লাসে যাওয়ার জন্য আগ্রহ অনুভব করেছিলাম। যখন দ্বাদশ শ্রেণি শেষ হয়ে গেল তখন মনে হলো উপন্যাসের সমাপ্তি। অর্থাৎ মাত্র ১০ দিনে একদম বেসিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অনেকটা উপন্যাসের মতোই।
পাঠ্যবইগুলো কিন্তু আমরা স্কুলে শেষ করেছি। তখন মজা পাইনি। যেহেতু এখনকার মতো উপভোগ করতে পারিনি তাই স্কুলে তা বোরিং মনে হয়েছিল। আরিফা মডেলের অধীনে শেষ করার কারণে ইংরেজি শেখার মজা পেয়েছি এবং জার্নিটা উপভোগ করেছি। স্যারের গাইড লাইনে পাঠ্য বইগুলো পড়ার সুযোগ না হলে হয়তো জীবনে কখনো আর পড়াই হতো না এবং ইংরেজির ভয় জয় করে সামনে আগানো হতো না। এ কারণে রাজিব আহমেদ স্যারের প্রতি কৃজ্ঞতা।