ইংরেজি ম্যাগাজিন পড়ে কী লাভ হলো?
বিশ্বের শীর্ষ ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে টাইম ও ইকোনমিস্ট অন্যতম। এই ম্যাগাজিন দুইটা মনে হয় বিশ্বের উচ্চ শিক্ষিতদের সবাই চিনেন। তবে যেমন তেমন লোকেরা পড়ে না এই ম্যাগাজিন। উচ্চ শিক্ষিত এবং ইংরেজিতে যাদের দখল আছে তারাই কেবল পড়ে টাইম ও ইকোনমিস্টের মতো ম্যাগাজিন। আগে নীলক্ষেতের ম্যাগাজিন গলিতে দেখতাম ঝুলে আছে টাইম, ইকোনমিস্ট, ফোর্বস, ইন্ডিয়া টুডে, হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, ফরচুন ইত্যাদি ম্যাগাজিনগুলো। কখনো কল্পনাও করিনি এগুলো পড়বো। সবসময়ই মাথায় ছিল যারা ইংরেজিতে পারদর্শী তাদের মধ্য থেকে সামান্য সংখ্যক লোকজন পড়ে এসব ম্যাগাজিন। সত্যি কথা বলতে কাছের কাউকেই দেখিনি এগুলো পড়তে বা এসব নিয়ে আলোচনা করতে।
যখন আরিফা মডেলে রাজিব আহমেদ স্যার এসব ম্যাগাজিনের কথা বলতেন তখন কিছুটা দ্বিধাদন্দ ছিল তা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই। বার বার মনে হতো এসব ম্যাগাজিন তো কখনো ছুঁয়েও দেখিনি। এগুলো পড়ে কী বুঝতে পারবো? কিন্তু পরক্ষনেই মাথায় আসতো এএএ সার্চ ইংলিশ ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি পোস্টগুলো পড়া শেষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ইংরেজি বইগুলো পড়া শেষ, ইংরেজি পত্রিকা ৩ মাসের বেশি সময় ধরে পড়া হয়েছে। তাহলে ম্যাগাজিন কেন পারবো না? এখানেও তো মাত্র ইংরেজি ২৬টা বর্ণ ব্যবহার করেই লেখা হয়েছে। তা ছাড়া অন্যদের ম্যাগাজিন পড়া ছবিগুলো দেখে সাহস পেতাম। যখন পড়া শুরু করলাম ইকোনমিস্ট একটু কঠিন মনে হলেও টাইম পড়তে অসুবিধা ছিল না।
যেদিন প্রথম ইংরেজি ম্যাগাজিন শেষ করি সেদিন খুবই আনন্দ লাগছিল। যে বিশ্বের উচ্চ শিক্ষিত সীমিত মানুষ যেসব ম্যাগাজিন পড়ে আমিও তা পড়ি এবং আমি যতটুকু পড়তে পারি আমার আশেপাশে হয়তো কেউ পড়ে না এবং পারে না। এটাই ছিল আত্মতৃপ্তি। এখন পর্যন্ত আমাদের আশেপাশে কাউকে শুনিনি যে তারা ইংরেজি প্রভাবশালী ম্যাগাজিনগুলো পড়েন। এক মাত্র আরিফা মডেল অনুসারীদেরই দেখেছি। তা সম্ভব হয়েছে রাজিব আহমেদ স্যার ও আরিফা মডেলের কারণে।
আরিফা মডেল আমাদেরকে বেসিক নলেজ থেকে অ্যাডভান্স নলেজের দিকে নিয়ে গেছে বিনামূ্ল্যে। আরিফা মডেল ছাড়া সত্যিই সম্ভব ছিল না ইংরেজি ম্যাগাজিন পড়ার মতো সাহস তৈরি করা।