আরিফা মডেলের কারণে দেশি পণ্যের উপর লেখাপড়া, কনটেন্ট, প্রচার ও বিক্রি বেড়েছে।
এখন থেকে ৩-৪ বছর আগে দেশি পণ্য নিয়ে অনলাইন কিংবা অফলাইনে তেমন আলোচনাই ছিল না। মিডিয়াতে যেসব আলোচনা হতো তা ছিল বাম্পার ফলন অথবা কৃষকের মাথায় হাত। এই জাতীয় সংবাদ। ফিচারও তেমন একটা চোখে পড়তো না। কিন্তু এখন সেই চিত্র বদলে গেছে। প্রতিদিন দেশি পণ্য নিয়ে হাজার হাজার পোস্ট আপলোড হচ্ছে ফেসবুকে। অনেকগুলো ওয়েবাসাইটও আছে। আবার গণমাধ্যমেও প্রায় নিয়মিত আলোচনা থাকছে দেশি পণ্যের ই-কমার্স। অথচ ২০২০ সালে স্যার নানাভাবে চেষ্টা করে দেশি পণ্যের নিউজ করাতেন, কাকলী আপুকে বিভিন্ন মিডিয়ায় কথা বলার সুযোগ করে দিতেন। এখন সেই সুযোগ ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের সকলের মাঝে।
এখন দেশি পণ্য নিয়ে প্রতিদিনই পড়ছেন উদ্যোক্তারা। তারা স্প্যাসিফিক ভাবে লিখে আমাদের যেমন জানাচ্ছেন তেমনি দেশি পণ্যের কনটেন্ট বাড়াচ্ছেন। আগে দেশি পণ্যের উপর আলাদা কোন সার্ভে রিচার্স কিছুই ছিল না। এখন ইডিসির ওয়েবসাইটে কিছু গবেষণামূলক আর্টিকেল রয়েছে। আবার পপি আপুর ওয়েবসাইটে সার্ভেও রয়েছে। সামনের দিকে আরও বাড়বে সেই প্রত্যাশা করি।
ফেসবুকে দেখেছিলাম কেউ এক বছরে ১ লাখ টাকার দেশি পণ্য কেনাকাটা করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলেই উদযাপন করা হতো। প্রতি ২-৩ মাসেই ১ লাখ টাকার দেশি পণ্য কেনা হয়ে যায়। হোম মেইড খাবার তো এখন নিত্য সঙ্গী বলা যায়, দেশি পোশাক ও অন্যান্য পণ্যও নিয়মিত কেনা হয়। তা যে কেবল নিজের জন্য কিনি তাই না পরিবারের সাবই ব্যবহার করে। সেই সাথে নিজেও বিক্রি করি নিয়মিত। তা সম্ভব বৃদ্ধি পেয়েছে আরিফা মডেলের কারণে।