কমেন্ট পড়া
আরিফা মডেল শেষ করার কারণে কমেন্ট পড়ার অভ্যাস ও ধৈর্য তৈরি হয়েছে। শ্রদ্ধেয় রাজিব আহমেদ স্যার ১০ মিনিট রাইটিং পোস্টের দ্বিতীয় সিরিজ শুরু করেছেন। স্যার প্রতিদিন একটা করে পোস্ট দেন নিজের প্রোফাইলে। প্রতিটি পোস্টে ৩০০ এর বেশি কমেন্ট আসে। এর সিংহভাগ কমেন্টে ই অন্তত ৩০০ শব্দের হয়। সবাই একই প্রশ্নের উত্তর দেয়। কিন্তু প্রতিটি কমেন্ট হয় আলাদা। মাঝে মাঝে ভাবনায় আসে আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরিক্ষাতেও কিন্তু একই প্রশ্ন পেতাম সকলে। কিন্তু সেখানে পরিক্ষার খাতায় উত্তরগুলো প্রায় একই লেখা হতো। কারণ তখন আমরা গাইড থেকে মুখস্থ করতাম। আবার একজন অন্য জনকে দেখাতে হতো কোন কোন ক্ষেত্রে। কিন্তু স্যারের পোস্টের কমেন্টগুলো কারো সাথে কারো ৩০%ও মিলে না। কারণ সবাই সৃজনশীলভাবে নিজের মতো করে গুছিয়ে উত্তর দেন নির্দিষ্ট সময়ে।
আমি যতটা সম্ভব কমেন্টগুলো পড়ার চেষ্টা করি। কারণ একই প্রশ্নের উত্তর হলেও প্রতিটি হয় স্বতন্ত্র। তাই আমি কোন কিছু বাদ দিয়ে কমেন্ট করলেও অন্যরা সেটা কাভার করে ফেলছে। আবার আমার মাথায় যা ছিল না তাও অন্যরা লিখছে তাই অল্প সময়ে বিহৎভাবে জানার সুযোগ হচ্ছে।
এই যে সময় নিয়ে পড়ার ধৈর্যটা তৈরি হয়েছে তা আরিফা মডেলের টাস্কগুলো শেষ করার কারণেই। নতুবা চার বছর আগেও বড় পোস্ট দেখলেই স্কিপ করতাম, আর সেখানে কমেন্ট বক্সে গিয়ে এত বড় বড় অসংখ্য পোস্ট পড়া তো এক প্রাকার বিলাসীতা কিংবা কঠিন কাজ।