আরিফা মডেলের কারণে টু দ্যা পয়েন্টের দক্ষতা
জীবনের বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে কোন একটা বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক লম্বা করে ফেলতাম। যার ফলে যাকে বর্ণনা করছিলাম তার মনযোগ স্থায়ী হয়নি আমার উপর। খুবই কম সময় শ্রোতার মনযোগ ধরে রাখতে পেরেছিলাম। এ কারণে অনেক সময় অতৃপ্ত থাকতাম।
ই-কমার্সে ক্যারিয়ার গড়তে এসে দেখলাম এখানে মানুষ সংক্ষিপ্ত উত্তর চায়। লেখার ক্ষেত্রেও সংক্ষিপ্তের ছাড়া ছড়ি। যেমন আমার সম্মানিত কাস্টমার তার মূল্যবান সময় বাচাতে গিয়ে অনায়েসে লিখছেন pp (Product Price/Price Please), nc (Nice), nd (No Need), thnx (Thank you), wc (Welcome) ইত্যাদি। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে সকল প্রশ্নের জবাব এত সংক্ষিপ্তভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যার কারণে হয়তো তাঁর সময় কিছুটা নষ্ট হতো এবং ক্লিয়ার হওয়ার জন্য একাধিক প্রশ্ন করতে হতো। কিন্তু যখন আরিফা মডেলের কাজগুলো শেষ করলাম। তখন থেকে বাংলায় এবং টু দ্যা পয়েন্টে উত্তর দেওয়া শিখে গেলাম। এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলায় উত্তর দিলেও এক বা একাধিক বাক্যে উত্তর দিতে পারি। এতে করে যে আমার ক্রেতারা সন্তুষ্ট হয় তা উত্তর পড়লেই বুঝতে পারি।
এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন জায়গাতে কথা বলতে হয়। যে টপিকের উপর কথা বলতে হয় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ডেলিভারি করে উত্তর দিতে পারি। এতে করে আমাদের সময় যেমন বেচে যায় তেমনি তারাও মনে রাখতে পারে।
আমার এই টু দ্যা পয়েন্টে কথা বলার দক্ষতা অর্জনের পিছনে আরিফা মডেলের টাস্কগুলোর অবদান রয়েছে।