আরিফা মডেলের জেলা ভিত্তিক অর্থনীতি
জেলা ভিত্তিক দেশি পণ্যের কনটেন্ট বাড়ানোর লক্ষ্যে আরিফা মডেল শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধেয় @Razib Ahmed স্যার। শুরুটা জেলা ভিত্তিক হলেও তা ছড়িয়ে পড়েছে বহুদিকে। আরিফা মডেলের কারণে আমরা জেনেছি দেশের বিভিন্ন জেলার পণ্য, উদ্যোক্তা, দর্শনীয় স্থানসহ নানা বিষয় নিয়ে। তখনই নতুন নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতাম আর অর্ডার করে স্বাদ নিতাম। এরপর থেকে এসব পণ্যের কেনাকাটা আর বন্ধ হয়নি। বরং দিনে দিনে যত নতুন পণ্য সম্পর্কে জানছি ততই কেনাকাটার মাত্রা বাড়িয়েছি।
শেরপুরের ছানার পায়েস, চট্টগ্রামের খাস্তা, ময়মনসিংহের বিরুই চালের মতো অনেক পণ্য সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু পরিচিত উদ্যোক্তা না থাকার কারণে সব পণ্য অর্ডার করার সৌভাগ্য হয় নাই। আমাদের দেশে অসংখ্য পণ্য আছে যা এক জেলায় উৎপাদন হয় কিন্তু দেশের অন্য জেলায় হয় না। এসব পণ্য সম্পর্কে জানার পর তার স্বাদ নিতে মন চায়, আত্মীয়দের উপহার দিতে মন চায়। কিন্তু উদ্যোক্তা না থাকার কারণে ইচ্ছা থাকলেও সব পণ্য খাওয়ার বা স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয় না।
আরিফা মডেলের কারণে জেলা ভিত্তিক পণ্যগুলো পরিচিতি করানো সহজ হয়েছে। যদি উদ্যোক্তারা এসব পণ্য নিয়ে কাজ করে তাহলে আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ করার মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান এবং জেলা ভিত্তিক অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে পারে। কারণ পণ্যটি যেহেতু ঐ জেলা ব্যাতীত অন্য কোথাও সেভাবে পাওয়া যায় না তাই কুরিয়ারের মাধ্যমে সারাদেশে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এ কারণে তাদের উৎপাদন এরিয়া বাড়ুক আর না বাড়ুক চাহিদা এবং ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে ইন শা আল্লাহ্।