আরিফা মডেলে কিশোর ক্লাসিক
আরিফা মডেল শেষ করে নেওয়ার জন্য আমার পড়ার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্তেই কিছু না কিছু পড়তে হয়। স্কুল জীবনে কিশোর ক্লাসিক, মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা, ওয়েস্টার্ন সিরিজ পড়লেও এখন এসে আরও বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। যেহেতু আগের পড়া এবং এখনকার পড়ার মধ্যে অনেক প্রার্থক্য। আগে কিশোর ক্লাসিক পড়তাম কেবল মজা পাওয়ার জন্য আর এখন পড়ি বুঝার জন্য, ব্রেইন খাটানোর জন্য, ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার জন্য। কারণ রাজিব আহমেদ স্যার সবসময় বলেন স্যারের কোন মেন্টর ছিল না, কিশোর ক্লাসিকগুলোই স্যারের মেন্টর। স্যার এত বেশি বেশি ডিফারেন্ট আইডিয়া তৈরি করতে পারেন কিশোর ক্লাসিকের কারণে।
কিশোর ক্লাসিকের গল্পগুলোও আমার জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এখন প্রতিটা গল্প পড়ার পর কয়েকভাবে চিন্তা করতে পারি। আগে যেই বিষয়গুলো নিয়ে সহজে হতাশা চলে আসতো এখন তা-ই আশার আলো। এই পরিবর্তনের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। রবিনসন ক্রুসো যখন পড়েছিলাম তার বিপদ থেকে জানার সুযেোগ হলো সব কিছু হারিয়ে গেলেও আসা থেকে যায় জীবনে বেচে থাকার। আর মানুষ জীবনের প্রয়োজনেই তার অবলম্বন তৈরি করে। এর মাঝেও থাকে আনন্দ আর আত্মতৃপ্তি। আবার এডমন্ড দান্তে কিংবা দাগলারের গল্পগুলো আমাদেরকে নানা ভাবে অনুপ্রাণীত করে হতাশা মুক্ত থাকার। তাই আমি এখন সবসময় উপলব্ধি করি আরিফা মডেলের কারণে কিশোর ক্লাসিকের প্রতি আগের চেয়ে উপলব্ধি ক্ষমতা বেড়েছে অনেকগুণ। যা দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করেছে।