অপার সম্ভাবনার জেলা শরীয়তপুর বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চরের একটি জেলা। এ জেলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। এ জেলার ব্র্যান্ডিং ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে জিআই পণ্য। তাই আজকে লিখছি, শরীয়তপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
শরীয়তপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য মৃৎশিল্প
বহু বছর ধরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মৃৎ পণ্য উৎপাদন হয়ে আসছে। এখানকার মৃৎ পণ্য তখনকার সময় থেকেই খ্যাত ধরে রেখেছে। আগের তুলনায় মৃৎ পণ্যের ব্যবহার কমে আসলেও নানা রকমের খেলনা, শো-পিচ,তৈজষপত্র সহ নানারকম হাড়িপাতিল উৎপাদন হয়। শরীয়তপুরের মৃৎ পণ্য প্রায় ২০টি দেশে রপ্তানি হয়। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সহ ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করছে। এখানকার কোন মৃৎশিল্প জিআই স্বীকৃতি অর্জন করলে তা রপ্তানি বাজার আরও প্রসার করতে পারে।
কাসা শিল্প
শরীয়তপুরের বেশ পুরানো একটি পেশা কাসা শিল্প। প্রায় শতাধিক বছর পূর্বে কংশ বণিক বংশের লোকেরা কাসা পিতল দিয়ে নানারকম জিনিস তৈরি শুরু করেছিলেন। কাসা উৎপাদনে বিখ্যাত ছিল শরীয়তপুর সদর উপজেলার দাসার্ত্তা গ্রাম। কালের বিবর্তনে আগের জৌলুস হারিয়ে গেলেও এখনো টিকে আছে শরীয়তপুরের কাসা শিল্প। এই শিল্পের কোন পণ্য জিআই স্বীকৃতির আওয়াত নিয়ে আসতে পারলে সোনালী গৌরব ফিরে পেতে পারে। শরীয়তপুরের কাসা শিল্প জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
নড়িয়া সন্দেশ
নড়িয়ার সন্দেশের ইতিহাস শতাধিক বছরের। তখনকার সময় ভারতের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নড়িয়ার সন্দেশের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পার্শবর্তী অঞ্চল কলকাতায়। এখনো সুনাম রয়েছে নড়িয়ার সন্দেশের। এই সন্দেশ জিআই স্বীকৃতি পেলে রাজধানীতে বাজার বৃদ্ধি পাবে।