গাজীপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য
ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি জেলার নাম গাজীপুর। বাংলাদেশের জিডিপিতে এই জেলার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমে এটি একটি শিল্প সাংস্কৃতিক জেলা হয়ে উঠেলেও এখানে বেশ কিছু পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মতো রয়েছে। শিল্প অর্থনীতির সাথে কৃষি অর্থনীতি মিলে গাজীপুর একটি সমৃদ্ধ জেলা। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
গাজীপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে আলোচনা করবো এই আর্টিকেলে। এগুলো ছাড়াও আরও অসংখ্য পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেতে পারে গাজীপুর থেকে।
কাঁঠাল
গাজীপুরের একটি অর্থকরী ফসলের নাম কাঁঠাল। এই কাঁঠাল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চাহিদা পূরণে দারুণভাবে অবদান রাখছে। প্রতি বছর ব্যাপারীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় গাজীপুরের কাঁঠাল। এই কাঁঠাল রপ্তানী হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদ থেকে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজার এই গাজীপুর জেলায় অবস্থীত। গাজীপুরের কয়েকটি উপজেলার প্রায় সব পরিবার কোন না কোন ভাবে কাঁঠালের সাথে জড়িত আছে। এই জেলায় ২০০-২৫০ বছর বয়সী কাঁঠাল গাছও দেখা মিলে। তাই গাজীপুরের কাঁঠাল জিআই স্বীকৃতি পেতে পারে। এটি ভবিষ্যতে কর্মংস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে নিঃসন্দেহে।
কাপাসিয়ার পেয়ারা
পেয়ারা বাংলাদেশের একটি দেশীয় ফল। দেশের প্রায় সব গ্রামে উৎপাদন হলেও কিছু কিছু পেয়ার জাত, মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে স্বাদে গুণে ভিন্ন হয়ে থাকে। এমনি একটু ভিন্ন স্বাদে পেয়ারা হয় গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। এসব পেয়ারার স্বাদ, আকৃতি হয় ভিন্ন এবং ফলন হয় বেশি।
কাপাসিয়ার তুঁতগাছ
আদীকাল থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে মসলিন বুননের তুঁত সংগ্রহ করা হতো। এখনো বাণিজ্যিকভাবে তুঁত সংগ্রহ করা হয় কাপাসিয়া থেকে, এরপর তা রেসম পোকাকে খাওয়ানোর মাধ্যমে রেসম সুতা সংগ্রহ করা হয়। যা থেকে তৈরি হয় বিশ্ববিখ্যাত মসলিন।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল, গাজীপুর জেলার কাঠালের স্বাদ অনন্য। কাঁঠাল সম্ভাব্য জি আই পণ্য হতে পারে নিসন্দেহে৷ গাজীপুর জেলার বিশাল অর্থনীতি কাঁঠাল এর উৎপাদন এর উপর৷ এ পণ্য জি আই স্বীকৃতি পেলে তার বিক্রি বা জনপ্রিয়তা আর বেড়ে যাবে৷
যথার্থ