আজকে আলোচনা করবো মানিকগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য। মানিকগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্যের নাম চিন্তা করলে প্রথমে মাথায় চলে আসে হাজারি গুড়ের নাম। হাজারিগুড় উৎপাদনের সাথে মিশে আছে গাছি পরিবারের কর্মংস্থান ও কর্মদক্ষতা। হাজারিগুড় স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। এই গুড়ের ইতিহাস ২০০ বছরের বেশি। দুই শতাব্দি আগে একজন গাছির নাম থেকে গুড়ের নাম করণ হয় হাজারিগুড়। তিনি বাস করতেন মানিকগঞ্জের ঝিটকা অঞ্চলে। ভারত সফরে এসে মানিকগঞ্জের গুড়ের ঘ্রাণ ও স্বাদে মুগ্ধ হয়েছিল ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ। তিনি একটি সীলমোহর প্রদান করেন।
মানিকগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য তাঁত শিল্প
তাঁত শিল্পে সমৃদ্ধ একটি জেলার নাম মানিকগঞ্জ। এখানে এখনো শত শত তাঁত চালু রেখেছে তাঁতিরা। তারা অন্তত ৫০ ধরনে তাঁতের শাড়ি বুনে থাকে। শাড়ির পাশাপাশি গামছা, থ্রি পিস ইত্যাদিও বুনন করেন। মানিসকগঞ্জের তাঁতের শাড়ি ও গামছা খুবই আরামদায়ক। সেখান থেকে খুঁজে খুঁজে কয়েকটি তাঁত পণ্য চিহ্নিত করে তা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে জিআই পণ্যের আবেদনের জন্যে।
পানতোয়া
মানিকগঞ্জ জেলার পানতোয়া মিষ্টি সারাদেশে বিখ্যাত। এই মিষ্টি তৈরি করা হয় ছানা ঘিয়ে ভিজিয়ে চিনির রসে ডুবিয়ে। এই মিষ্টি স্বাদ অন্য যেকোন মিষ্টির চেয়ে আলাদা। আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যও আলাদা।
মানিকগঞ্জ এর হাজারি গুড় খুবই সুস্বাদু, এ গুড়ের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ৷ পানতোয়া মিষ্টিও তার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে বহু বছর ধরে৷ মানিকগঞ্জ এর তাত শিল্প নিয়ে জানার সুযোগ হয়েছে ২০২১ সালে৷ অসংখ্য তাতীদের কাজ চলে নিয়মিত৷ এখনও অনেক লোকের কর্মসংস্থান এ কাজকে ঘিরে৷ মানিকগঞ্জ এর এই পণ্যগুলো জি আই স্বীকৃতি পেলে তা নিয়ে কাজের ক্ষেত্র আরও অনেক বাড়বে ইনশাআল্লাহ
সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা দরকার।