ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য

ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য

১৯৮৪ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেনী। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ সবক্ষেত্রেই ফেনী অবদান রেখে চলেছে। জেলার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে রেমিট্যান্স আয়, কৃষিখাত ও ভারি শিল্প। প্রতিটি জেলায় কিছু স্বতন্ত্র পণ্য থাকে ফেনীও তার ব্যতীক্রম নয়। আজকে ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে আলোচনা করছি।

ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য খন্ডলের মিষ্টি
ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য খন্ডলের মিষ্টি

খন্ডলের মিষ্টি

ফেনীর ঐতিহ্য বহনকারী মিষ্টির মধ্যে খন্ডলের মিষ্টি অন্যতম। জানা যায়, স্বাধীনতার পর পরশুরামের খন্ডল স্কুলের পাশে যোগল চন্দ্র দাস নামক এক মিষ্টি কারিগরের হাত ধরে ছানা, ময়দা ও চিনির সিরা দিয়ে রসগোল্লার মতো ভিন্ন ধরনের একপ্রকার মিষ্টি উৎপাদন শুরু হয়। খুব অল্প দিনে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মানুষ দুর দুরান্ত আসতে শুরু করে এই মিষ্টি খেতে। তখন মানুষের মুখেমুখে স্থানের নামেই পরিচিতি লাভ করেছে এই মিষ্টি। প্রবাসীদের মাধ্যমে বিদেশেও যায় খন্ডলের মিষ্টি। চাহিদা বাড়ার কারণে অনেকগুলো মিষ্টির দোকান গড়ে উঠেছে এবং খন্ডলের মিষ্টি তৈরি করছে।

নব্বইয়ের দশকে এই মিষ্টির পরিচিতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই মিষ্টি তৈরি করে বহু পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। কেউ চাইলে মিষ্টি উৎপাদকরাও পার্সেল করে সারাদেশে পাঠিয়ে থাকেন। ই-কমার্সের এই যুগে খন্ডলের মিষ্টি নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, এই মিষ্টির সুনাম ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায়ও।

মহিষের দুধের ঘি
ফেনীর সম্ভাব্য জিআই পণ্য মহিষের দুধের ঘি

মহিষের দুধের ঘি

ফেনীর নদীর দুই পাশে ছোট ছোট অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। মহিষ পালন করে তাদের উপার্জন হয়। এসব মহিষ থেকে গড়ে ৫-৬ লিটার দুধ পাওয়া যায় প্রতিদিন। বছরে পাওয়া যায় একটি করে বাচ্চাও। এই দুধ বাজারে বিক্রি করা ছাড়াও ঘি তৈরি করা হয়। মহিষের দুধের ঘি সাদা রঙের হয়ে থাকে। অন্যান্য স্থানের চেয়ে এখানকার ঘি আলাদা। এ অঞ্চলের ঘি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। বর্তমানে অনলাইনেও পাওয়া যায় মহিষের দুধের ঘি। ফেনীর সবচেয়ে পরিচিত পণ্যগুলোর মধ্যে মহিষের দুধের ঘি অন্যতম।

Leave a Reply

Scroll to Top