নারায়ণগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য
প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ ছিল এই নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। বাংলার প্রধান বাণিজ্যিক পণ্য পাটের জন্য প্রাচ্যের ড্যান্ডি নামে খ্যাতি অর্জন করে নারায়ণগঞ্জ।(1) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী পাটকল নারায়ণগঞ্জ জেলাতেই অবস্থিত। এছাড়াও পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিজিএ; নিটওয়্যার রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ; হোসিয়ারী শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রধান কার্যালয় হোসিয়ারী সমিতি; সহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। বাংলা গৌরব মসলিন ও জামদানির জন্মও নারায়ণগঞ্জে। শিল্প-বাণিজ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা অনেক অগ্রসর। তবে জেলায় জিআই পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আজকে আলোচনা করবো নারায়ণগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
জামদানি পণ্য
বাংলার ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ জামদানি। এটিই দেশের প্রথম জিআই পণ্য। মসলিনের নতুন সংস্কৃরণ হিসেবে জামদানি পরিচিত। বাঙালি নারীদের আবেগের জায়গায় বসে আছে জামদানি। যা যুগে পর যুগ স্বযত্নে থাকবে নাদীদের আলমারিতে। তবে জামদানি শাড়ি থেকে আরও নানা রকম পণ্য তৈরি হয়। যেমন: পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, ওড়না, কুর্তি, পর্দা, শাল, পার্স, গাউন সহ ওয়েস্টার্ন পোশাক। এসব পোশাক থেকে জিআই স্বীকৃতির সকল শর্ত পূরণ করে তালিকা করে স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
চাক সেমাই
বহু বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে হাতে তৈরি চাক সেমাই তৈরি হয়ে আসছে। হাতের তৈরি হওয়ার কারণে স্বাদ অন্য যেকোন সেমাইয়ের চেয়ে স্বতন্ত্র। চাক সেমাইর সাথে ছোট-বড় সকলের কর্মসংস্থান রয়েছে। তারা সকাল সন্ধ্যা কাজ করে বছরের পর বছর ধরে। বিশেষ করে ঈদের আগে রাত দিন এক করে কাজ করতে হয় জেলা রূপগঞ্জের চারিতাল্লুক গ্রামে কারিগরদের।