কিশোরগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য
“উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা” এই স্লোগানে পরিচিত কিশোরগঞ্জ জেলা। এটি একটি প্রাচীন জনপদ। যেখানে পদচারণা রয়েছে মোগল ও পাঠানদের। কিশোরগঞ্জের সংস্কৃতিতে রয়েছে বৈচিত্র। এখানকার অর্থনীতি হাওর ও কৃষি নির্ভর হলেও স্বীকৃত কোন জিআই পণ্য নেই। তবে কয়েকটি সম্ভাব্য জিআই পণ্য রয়েছে এ জেলায়। তাই আজ কিশোরগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে আলোচনা করছি।
অষ্টগ্রামের পনির
অষ্টগ্রামের পনিরকে বলা হয় হাওরের ঐতিহ্য।(1) বহুকাল ধরে রয়েছে এই পনিরের পরিচিতি। বংশপরম্পরায় পনির তৈরি করে অষ্টাগ্রামের কিছুর পরিবার। চরে বিচরণ করা গরু-মহিষের দুধ থেকে পনির তৈরি শুরু হয়েছিল। যা একই মান ও মার্যাদা নিয়ে টিকে আছে এখনো। বলা হয় মোগল ও পাঠানদের সহযোগিতার কৃষকদের মাধ্যমে উৎপাদন শুরু হয়েছিল পনিরের। অষ্টাগ্রামের পনিরের আকৃতি সাদা রঙের হয়ে থাকে। পনির উৎপাদনের সাথে আধুনিক যন্ত্রের সংমিশ্রন নেই। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয় মানব শ্রম দিয়ে। এটি জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওরের মাছ ও শুটকি
কিশোরগঞ্জের হাওরে পাওয়া যায় হরেক রকমের মাছ। এসব মাছের স্বাদ ও আকৃতি হয়ে থাকে আলাদা। মিঠা পানির মাছ হওয়ার কারণে গুণগত মানের দিকে অনেক এগিয় থাকে কিশোরগঞ্জের হাওরের মাছ। ধারণা করা হয় এখানে বহু রকমের মাছ ধরা পড়ে।
এই অঞ্চলে তেমন কলকারখানা না উঠার কারণে পানি থাকে দূষণমুক্ত। তাই প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই বড় হয় কিশোরগঞ্জের হাওরের মাছ। এসব মাছ তাজা অবস্থায় বিক্রি হওয়ার পাশাপাশি শুকিয়ে শুটকিও করা হয়। যা দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হওয়ার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। কিশোরগঞ্জে হাওরের বিশেষ মাছ ও শুটকিগুলো চিহ্নিত করে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করার সুযোগ রয়েছে। তবে এখানকার শোল মাছের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।