শেরপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য

ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলার নাম শেরপুর। এটি গারো পাহাড়ের নিকটবর্তী হওয়ায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। এ জেলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। এছাড়াও শেরপুর যেহেতু একটি পর্যটন বান্ধব এলাকা তাই পর্যটনের সাথে শেরপুরের পণ্যগুলো জুড়ে দেওয়া যায়। এর জন্য জেলার জিআই পণ্যগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।

দেশের ২১টি পণ্যের মধ্যে শেরপুরের তুলশীমালা চালও রয়েছে। এই চাল জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার আগে থেকেই আমি নিয়মিত খাই। তখন থেকেই বুঝতে পেরেছি তুলশীমালা চালের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জিআই স্বীকৃতির পর তা বুঝতে বাকি নেই। শেরপুরের আরও কিছু পণ্য জিআই স্বীকৃতির আওতায় আসতে পারে। তাই আজ আলোচনা করবো শেরপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্যের তালিকা নিয়ে।

শেরপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য

শেরপুরের ছানার পায়েস

শেরপুরের ছানার পায়েস

এটির ইতিহাস খুবই পুরানো। জমিদার আমল থেকে উৎপাদন হয়ে আসছে শেরপুরে। খেতেও সুস্বাদু। দেখতে রসমলাইয়ের মতো মনে হলেও স্বাদ ও বৈশিষ্ট্যি ভিন্ন। তাই এই ছানার পায়েস জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে সারাদেশে পরিচিতি করার সুযোগ রয়েছে। একই সাথে ই-কমার্সের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচার ও বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে।

শেরপুরের মন্ডা
শেরপুরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য: শেরপুরের মন্ডা

শেরপুরের মন্ডা

ই-কমার্সের কল্যাণে শেরপুরের মন্ডার নাম জেনেছি এবং স্বাদ নিয়েছি। অন্য মন্ডা খেলেও শেরপুরের মন্ডার বিশেষত্ব নিজের অনুধান করতে পেরেছি। এই মন্ডার ইতিহাসও জমিদার আমলের। স্বাদে ও বৈশিষ্ট্যে অনন্য। তাই শেরপুরের মন্ডার জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে আরও বেশি প্রচার ও প্রসার করার সুযোগ আছে।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পোশাক

গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুর অংশে নৃগোষ্ঠীদের বসবাস রয়েছে। তাদের সংস্কৃতি আচার ব্যবহার বাঙালিদের চেয়ে আলাদা। তাদের পোশাক আশাক নিজেরাই বুনেন থাকেন। এসব পোশাক আশাক থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও ইতিহাস যুক্ত পণ্যগুলো নিয়ে জিআই স্বীকৃতির চেষ্টা চালাতে পাশের শেরপুর জেলা থেকে। এতে করে তাদের সংস্কৃতি বিশেষ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি কদর সৃষ্টি করবে।

Leave a Reply

Scroll to Top