নেত্রকোণার সম্ভাব্য জিআই পণ্য
নদী, হাওর, পাহাড় নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা নেত্রকোণা জেলা। এ কারণে জেলা ব্র্যান্ডিং ট্যাগ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নৈসর্গিক নেত্রকোণা’। মগড়া, কংশ, ধনাই খালী, সাইডুলি, ধনু, নিতাই ও সোমেশ্বরী নিয়ে সীমানা গেড়েছে নেত্রকোণা জেলা। বাংলাদেশের যে কয়টি স্থানে সাদা মাটির উত্তলন হয় তার মধ্যে নেত্রকোণা জেলা অন্যতম। এ কারণে বিজয়পুরের সাদামাটি বাংলাদেশের জিআই পণ্য। শুধু সাদা মাটিই নয় এমন আরও বহু পণ্য রয়েছে জিআই হওয়ার মতো। তাই আজকে আলোচনা করছি নেত্রকোণার সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
বালিশ মিষ্টি
নেত্রকোণা জেলার বিখ্যাত মিষ্টির মধ্যে বালিশ মিষ্টি অন্যতম। নেত্রকোণার জেলা ব্র্যান্ডিং এর সাথে জড়িয়ে আছে বালিশ মিষ্টির নাম। এটি দেখতে বালিশের মতো আকৃতির হওয়ার কারণে নামকরণ হয়ে যায় বালিশ মিষ্টি। উদ্ভাবন করেছিলেন গয়নাথ ঘোষ। এটি গয়নাথের নামে পরিচিতি পেলেও নেত্রকোণার প্রায় সব দোকানেই বালিশ মিষ্টি তৈরি হয়। যার ইতিহাস শতাধিক বছরের পুরানো। এই মিষ্টি নেত্রকোনাকে পরিচিত করেছে দেশ ও দেশের বাহিরে। কাউকে যদি দেশের ১০টি বিখ্যাত মিষ্টির নাম জিজ্ঞেস করা হয় সেখানে বালিশ মিষ্টি স্থান হবে অবধারিত।
ছানা, ময়দা আর চিনি দিয়ে বালিশ মিষ্টি উৎপাদন করার কারণে রসে টইটম্বুর ও স্বাদে অনন্য হয়। স্বাদের মাত্রা বাড়াতে ক্ষীরের প্রলেপ দিয়ে বিক্রয় করা হয়। এই বিখ্যাত ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মিষ্টি পেতে পারে জিআই পণ্যের মর্যাদা। প্রবাদে আছে, ‘‘জাম, রসগোল্লা পেয়ে শ্বশুর করলেন চটে নালিশ, আশা ছিল আনবে জামাই গয়ানাথের বালিশ”
মহাশোল
মিঠা পানির মাছ মহাশোল। তা পাওয়া যায় নেত্রকোণার নদীতে। এই মাছে স্বাদে খুবই সুস্বাদু। নুড়ির ফাঁকে যে শ্যাওলা জন্মায় মহাশোল মাছের খাদ্য। নেত্রকোণার ঐতিহ্য মহাশোল। এটি মিশে গেছে এই জেলার মানুষের সংস্কৃতির সাথে। অতীতকাল থেকে প্রচলিত মহাশোল না হলে নতুন জামাইকে বরণ করা হয়ে উঠতো না। এছাড়াও মেহমান আপ্যায়নে অবদারিত মহাশোল।