সুনামগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য
সুনামগঞ্জের সিংহভাগ মানুষ কৃষির সাথে কৃষির জড়িয়ে আছে। সুনামগঞ্জের কৃষি জমিতে ধান চাষের রয়েছে বৈচিত্র ও নিজস্বতা। এছাড়াও পাথর শিল্প, মৎস্য, সিমেন্ট শিল্প সুনামগঞ্জের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে বলা হয়, মৎস্য, পাথর ও ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। তাই এই জেলায় জিআই পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আজকের আর্টিকেলে লিখছি, সুনামগঞ্জের সম্ভাব্য জিআই পণ্য নিয়ে।
টেপি ধান
বোরো মৌসুমের একটি দেশি ধানের জাত হচ্ছে টেপি ধান। এটি বহুকাল ধরে উৎপাদন হয়ে আসছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। এই ধানের সাথে রয়েছে কৃষকদের দীর্ঘ ইতিহাস। টেপি ধানের জিআই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে দেশ বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
রাতা ধান
সুগন্ধ যুক্ত এক প্রকার ধানের নাম রাতা ধান। তা সুনমাগঞ্জের হাওর এলাকায় ভালো জন্মায়। রাতা ধান চাষের অনন্য দিক হচ্ছে এটি দেশি জাত এবং চাষাবাদে কৃত্রিম সারের প্রয়োজন হয় না। এই চালের ভাত হয় সুগন্ধ যুক্ত। রাতা ধান একটি বোর মৌসুমের চাল। সুনামগঞ্জ থেকে রাতা ধানের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা যাতে পারে। এছাড়াও গোচি ধান নিয়েও একই ভাবে চেষ্টা করা যেতে পারে।
সুনামগঞ্জের মহাশোল
দেশের সুস্বাদু মাছের মধ্যে হাওরের মহাশোল অন্যতম। সুনামগঞ্জের হাওরগুলো এই মহাশোল ঘন ঘন ধরা পরে। এটি হাওরের ঐতিহ্য। মহাশোল মাছের জিআই স্বীকৃতি পেতে কাজ করতে পারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন সহ সচেতন মানুষজন।
সুনামগঞ্জের শুঁটকি
প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শুটকির ভরা মৌসুম থাকে সুনামগঞ্জে। এই শুটকি দেশ বিদেশের চাহিদা পূরণে খুবই ভূমিকা রাখে। সুনামগঞ্জের বহুরকমের শুটকির মধ্য থেকে ইতিহাস ও অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত কিছু শুঁটকির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়াও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পোশাক পরিচ্ছেদ, পাথর সহ অন্যান্য পণ্যের জিআই স্বীকৃতি চাইতে পারে সুনমগঞ্জ থেকে।