ইডিসির প্রথম ইভেন্ট
দেশি পণ্যের ৭০ জন উদ্যোক্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা ইডিসির প্রথম ইভেন্ট। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইডিসির উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ ও ইডিসির ট্রাস্টিগণ।
গত ৯ মে (২০২২) মোহাম্মদপুর ক্লাবমিক্স রেস্টুরেন্টে ইডিসির প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদারের স্বাগত বক্তের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি ইডিসির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ ইডিসি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠার পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগ ’ডিজিটাল পল্লী’ প্রকল্পের ডকুমেন্টেশনের কাজ করার সুযোগ পেয়েছে ইডিসি।”
ইডিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিগার ফাতেমা তার বক্তব্যে তোলে ধরেন, দেশি পণ্যের সিলেবাস, এর সাথে ইডিসির কার্যক্রম, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, ই-কমার্স ক্যারিয়ারে টিকে থাকতে উদ্যোক্তাদের করণীয়সহ অন্যান্য বিষয়ে।
ট্রেজারার উম্মে সাহেরা এনিকা ইডিসির সাথে তার কার্যক্রম, পুরান ঢাকার ই-কমার্স, পুরান ঢাকার উদ্যোক্তাদের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
গবেষণা পরিচালক সালমা নেহার বক্তব্যে উঠে আসে, দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গবেষণা ও সঠিক তথ্যের গুরুত্ব, কনটেন্ট তৈরির প্রয়োজনীয়তা এবং এসবে ইডিসি যেভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য পরিচালক রাকিমুন জয়া, এই ইন্ডাস্ট্রিতে তথ্যের স্বল্পতা এবং তা দূরীকরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
ইডিসির প্রতি আশা প্রকাশ করে আলিয়া’স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী, জেনিস ফারজানা তানিয়া বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্সের অগ্রগতী এক দশকের হতে চললেও ই-কমার্সের উপর লেখাপড়া, গবেষণা, জরিপ, প্রতিবেদন, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার মতো কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। আমি আশাকরি এসব অভাব পূরণে ইডিসি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ইডিসি সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল ও ১০টি প্রশ্ন দেওয়া হয়। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লিখিত জবাব দেন। এছাড়াও তাদের থেকে প্রশ্ন, মতামত জানা হয়।
ইডিসির উপদেষ্টা রাজিব আহমেদের বক্তব্যের মাধ্যের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হয়। অনুষ্ঠান সমাপ্তির আগে রাজিব আহমেদ দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের নানা রকম পরামর্শ দেন। তিনি ইডিসির গঠন, কার্যক্রম, উদ্দেশ্য নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন।